মালদা

মালদার আম এবার শুধু মালদাতেই নয় পারি দেবে বিদেশে

বাংলাদেশ নির্ভশীলতা কাটিয়ে আমকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার পরিকল্পনা মুখ্যমন্ত্রীর। মালদার আম এবারে পাড়ি দেবে লন্ডনে। চুড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি উদ্যানপালন দপ্তরের। সরকারী এই উদ্যোগে খুশি মালদার আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা। 

 

            আম আমদানির ওপরে শুল্ক বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ সরকার। এক কেজি আমের জন্য কর গুনতে হয় ৩০টাকা। ফলে মালদার বাজারে যে আমের দাম কেজি প্রতি ২০টাকা,বাংলাদেশের বাজারে সেই আমের দাম গিয়ে দাঁড়ায় কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৬৫টাকা। এর ফলে গত একদশক ধরে বাংলাদেশে আম রপ্তানি প্রায় বন্ধ। মালদার আমের চাহিদা কমেছে বাংলাদেশের বাজারে। ফলে ব্যাপক উৎপাদন হওয়া স্বত্বেও ক্ষতির সন্মুখীন হচ্ছেন মালদার আম চাষীরা। বলে রাখা ভালো এবছরও জেলার ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে সাড়ে ৩ লক্ষ মেট্রিকটন আম উৎপাদন হয়েছে। দিল্লি, মুম্বাই সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রপ্তানি করেও আমের এই বিশাল ভান্ডার শেষ হওয়ার নয়। তাই সম্প্রতি মালদা সফররত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ জানান মালদার আম ব্যবসায়ীরা। তড়িঘড়ি মুখ্যমন্ত্রী উদ্যানপালন দপ্তরের সচীবকে নির্দেশ দেন ব্রিটেন এবং গল্ফ কান্ট্রি গুলিতে যাতে আম পাঠানো যায় তা নিশ্চিত করতে। আর মাত্র এক মাসের মধ্যেই লন্ডন,আবুধাবি সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় আম পাঠানোর ছাড়পত্র জোগাড় করে ফেলেছে সরকার। দুই তিনদিনের মধ্যেই মালদার ল্যাঙরা, হিমসাগর পাড়ি দেবে লন্ডনে। ব্যাস্ত উদ্যান পালন দপ্তরের কর্মীরা। চলতি বছরেই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে গামা ট্রিটমেন্ট পদ্ধতি চালু হবে কলকাতায়। ফলে আগামী বছর থেকে মালদার আম পাড়ি দেওয়ার সম্ভবনা তৈরী হয়েছে জাপান জার্মানি ও আমেরিকার মত দেশ গুলিতে। 

 

            বাংলদেশে রপ্তানী বন্ধ হওয়ার পর থেকেই ধুক ছিল মালদার প্রধান অর্থকারী ফসল আম। একদিকে যেমন অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছিলো, তেমনি আম চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিলেন চাষীরা। তবে লন্ডন ও আরবে আম রপ্তন করার সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার গ্রহন করায় লাভের আশায় এবারে বুক বেঁধেছেন চাষীরা। খুশি মালদার আম রপ্তানীকারকেরাও। 

 

            বাংলাদেশে রপ্তানী বন্ধ হওয়ার পর থেকে একদিকে যেমন বৈদশিক মুদ্রা উপার্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলো দেশ। অন্যদিকে ক্ষতির পরিমান বাড়তে থাকায় আম চাষ থেকে বিমুখ হচ্ছিলেন চাষীরা। কেন্দ্রীয় সরকারকে বার বার জানিয়েও বাংলাদেশে আম রপ্তানির বিষয়টি সুরাহা হয়নি। তাই বিকল্প পথ বেছে নিল রাজ্য সরকার। ফলে একদিকে যেমন বৈদশিক মুদ্রা উপার্জন হবে তেমনি প্রায় একদশক পর লাভের মুখ দেখবেন চাষী ও ব্যবসায়ীরা। তাই মালদার আম বাজারে এখন খুশির হাওয়া।